
হেফাজতে ইস’লাম বাংলাদেশের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইস’লামের ছে’লে হারুন ইজহারের গ্রে’ফতারের সংবাদে বি’ক্ষোভ প্রদর্শন করেছে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা। পরে রাত ১০টার পর হারুন ইজহার মাদ্রাসায় আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফটিকছড়ির নাজিরহাট মাদ্রাসা নিয়ে গো’পন বৈঠক করার সময় সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়দের অ’ভিযোগের ভিত্তিতে নাজিরহাটের একটি বাসা থেকে হারুন ইজহারসহ কয়েকজনকে আ’ট’ক করে পু’লিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। ফটিকছড়ি থা’নার ওসি (ত’দন্ত) রবিউল হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টির ব্যাপারে হেফাজত নেতা মা’ওলানা মীর ইদরিস বলেন, আম’রা ৮ জন সফরসঙ্গী একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজে’লার বাবুনগর উদ্দেশে রওনা হচ্ছিলাম।
পথিমধ্যে মাগরিবের নামাজের পর লেখক ও গবেষক গো’লাম রাব্বানী ইস’লামাবাদীর বিশেষ অনুরোধে চা পানের জন্য তার বাসায় কিছুক্ষণ অবস্থান করি।
খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থার ২ জন সদস্য গো’লাম রাব্বানীর বাসায় আসে। এ সময় তারা আমাদের বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ তোলে আম’রা নাকি গো’পন বৈঠক করছি।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে গো’লাম রব্বানীর বাসার বাইরে লোকজন ভিড় করে এবং কে বা কারা হঠাৎ আমাদের গ্রে’ফতারের দাবিতে মিছিল করতে শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে ফটিকছড়ি থা’না পু’লিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরকে উ’দ্ধার করে থা’নায় নিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থা’না পু’লিশ সবাইকে সসম্মানে ছেড়ে দেয়।
এদিকে হারুন ইজহারকে আ’ট’কের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে হাটহাজারী মাদ্রাসার কয়েক’শ ছাত্র বি’ক্ষোভ করে। তবে তাদের গ্রে’ফতার করা হয়নি খবর পেয়ে পরিবেশ কিছুটা শান্ত হয়। পরে রাত ১০টার দিকে একটি গাড়িতে করে হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে প্রবেশ করেন মুফতি হারুন ইজহার এবং হেফাজত নেতা মীর ইদরিছ।
এসময় তারা ছাত্রদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে দেয়া বক্তৃতায় হারুন ইজহার হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে ধন্যবাদ জানান।